বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয়
উৎসব হল বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বুদ্ধ জয়ন্তী। বৌদ্ধধর্ম
অনুসারে, বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে
জন্মগ্রহণ করেছিলেন গৌতম বুদ্ধ। আবার এই পবিত্র তিথিতেই গৃহত্যাগী হয়ে তিনি তাঁর সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন এবং
পরবর্তীকালে এই দিনেই মহানির্বাণ লাভ করেন। তাই বৈশাখী পূর্ণিমার দিনটি গৌতম বুদ্ধের জন্য বিশেষ।
আরও পড়ুন: কীভাবে হয়েছিল দেবী ছিন্নমস্তার উত্পত্তি, জেনে নিন সেই গল্প
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি
হিন্দুদের জন্যেও এই দিনটি অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক, বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বৈশাখ পূর্ণিমার তিথি, সময় এবং তাৎপর্য সম্পর্কে -
বুদ্ধ পূর্ণিমার তিথি, সময় ও মাহাত্ম্য
বুদ্ধ পূর্ণিমার তিথি ও সময় ২০২৩
সালে বুদ্ধ পূর্ণিমা পড়েছে ৫ মে, শুক্রবার। পূর্ণিমা
তিথি শুরু হবে ৪ মে, রাত ১১টা ৪৪ মিনিটে এবং সমাপ্ত হবে ৫ মে, রাত ১১টা ০৩ মিনিটে। বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণও ঘটতে চলেছে এই দিনেই। বিশ্বাস করা হয়, বৈশাখী পূর্ণিমা বা বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন গঙ্গা স্নান করলে
সকল পাপ থেকে মুক্তি মেলে। এই পবিত্র দিনে দান করাও অত্যন্ত শুভ।
আরও পড়ুন: বদ্রীনাথ মন্দিরে কেন শাঁখ বাজানো হয় না জানেন? এর নেপথ্যে রয়েছে এই ৩ বিশেষ কারণ
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, বুদ্ধগয়ায় একটি বটগাছের নীচে বসে টানা ৪৯ দিন ধ্যান করেন
গৌতম বুদ্ধ। তারপর এই দিনেই বোধি লাভ করেন তিনি। জীবজগতকে কষ্টের হাত থেকে মুক্তি
দেওয়ার পথ প্রাপ্ত হন তিনি। মাত্র ৩০ বছর বয়সে স্ত্রী, পুত্র ও সিংহাসনের মায়া ত্যাগ করে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন গৌতম
বুদ্ধ। প্রচার শুরু করেন বৌদ্ধ ধর্মের। তাঁর
প্রচারিত ধর্মের মূল কথা অহিংসা, দয়া ও ভালবাসা।
বৌদ্ধধর্মাবলম্বীগণ এই দিনে স্নান
সেরে শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করে ভগবান বুদ্ধের বন্দনা করেন। ভক্তরা প্রতিটি বৌদ্ধ মন্দিরে বহু প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করেন, ফুলের মালা দিয়ে মন্দিরগৃহ সাজিয়ে বুদ্ধের আরাধনায় মগ্ন হন। বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা
বোধগয়ায় আসেন। এই দিন বোধি বৃক্ষেরও
পূজা করা হয়।