হিন্দু ধর্মে মা গঙ্গাকে
মোক্ষদায়িনী রূপে পূজা করা হয়। জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে জাহ্নবী গঙ্গা স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে এসেছিলেন, তাই এই দিনে গঙ্গা দশহরা
উৎসব পালিত হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, গঙ্গা দশহরার দিন পবিত্র স্নান এবং দান
একজন ব্যক্তিকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি দেয়, মোক্ষের দ্বার
উন্মুক্ত করে।
পঞ্জিকাতে বলা হয়েছে, এই বিশেষ দিনে
নির্জলা একাদশীর উপবাসও পালন করা হবে। ৩০
মে মঙ্গলবার পালিত হবে
গঙ্গা দশহরা। জ্যোতিষশাস্ত্রীয় ক্যালেন্ডার
অনুসারে, এই বিশেষ দিনে অনেকগুলি শুভ যোগ তৈরি
হচ্ছে,
যাতে মা গঙ্গার আরাধনা করে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, জ্যৈষ্ঠ শুক্লপক্ষের দশমী তিথি ২৯ মে তারিখে সকাল ১১:৪৯ টায় শুরু হবে এবং ৩০ মে তারিখে ০১:০৭ টায় শেষ হবে। এই
দিনে একটি খুব শুভ হস্ত নক্ষত্র এবং
সিদ্ধি যোগ গঠিত হচ্ছে। হস্ত নক্ষত্র পূর্ণ রাত পর্যন্ত থাকবে এবং সিদ্ধি যোগ ৩০ মে রাত ০৮:৫৫ পর্যন্ত থাকবে।
জ্যোতিষীরা বলছেন যে গঙ্গা দশহরার দিনে রবি যোগ এবং সিদ্ধি যোগের সংমিশ্রণ রয়েছে। এর সঙ্গে এই দিনে শুক্র গ্রহ কর্কট রাশিতে প্রবেশ করবে, যার কারণে ধন যোগের সৃষ্টি হবে। গঙ্গা দশহরার দিন সারাদিন রবি যোগ থাকবে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে
ব্রহ্ম মুহুর্তে গঙ্গা নদীতে স্নান করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়, তাই ব্রাহ্ম মুহুর্তের সময় জানা জরুরি। গঙ্গা দশহরার দিন, ব্রাহ্ম মুহুর্ত হবে ভোর ০৪:০৩ থেকে ০৪:৪৩ পর্যন্ত।
কিংবদন্তি অনুসারে, রাজা ভগীরথের কঠোর তপস্যার পর মা গঙ্গা পৃথিবীতে অবতরণ করেছিলেন।
এমন পরিস্থিতিতে গঙ্গা দশহরার দিনে পুজো করে
কিছু বিশেষ ব্যবস্থা মেনে কোনও ব্যক্তি উপকার পেতে পারেন। এই দিনে, অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য একটি রুপোর পাত্রে গঙ্গা জল ভরে আপনার বাড়ির উত্তর-পূর্ব
দিকে রাখুন। এতে করে অর্থ সংক্রান্ত সমস্যা কেটে যায়। সেই সঙ্গে এই দিনে গঙ্গার
ঘাটে তর্পণ করে পিতৃপুরুষের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।