মানুষ নিজের ভাগ্য নিজে নিয়েই জন্মায়। চাণক্যের মতে সন্তান যখন মাতৃগর্ভে থাকে, তখনই তার ভাগ্য নির্ধারিত হয়। আচার্য চাণক্য তাঁর নীতি
গ্রন্থে এই বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। চাণক্য বলেছেন যে পাঁচটি জিনিস জন্মের আগেই আমাদের ভাগ্যে লেখা হয়ে যায়। কেউ চাইলেও তা পরিবর্তন করতে পারে না। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই পাঁচটি জিনিস সম্পর্কে যা গর্ভে
থাকা ব্যক্তির ভাগ্যের সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন: Lord Shiva: সোমবার শিবলিঙ্গে এই জিনিসগুলি নিবেদন করুন, প্রসন্ন হবেন মহাদেব
বয়স
সদ্যজাত যে শিশু সে কতদিন বাঁচবে,
সে স্বল্পজীবী হবে না দীর্ঘজীবী হবে তা
মাতৃগর্ভেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে। যে পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছে তাঁর
মৃত্যু হবে নির্দিষ্ট সময়ে।
আরও পড়ুন: বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন ডালের এই পদ, বাচ্চারাও খাবে চেটেপুটে
কর্ম
কথায় বলে সময়ের আগে যেমন কিছু
পাওয়া সম্ভব নয়, তেমনই ভাগ্যে যা রয়েছে তার বেশিও যেমন কেউ পাবে
না কমও কেউ ভোগ করবে না। প্রত্যেক মানুষকে তার কর্ম অনুসারে
সুখ-দুঃখ ভোগ করতে হয়। এই কর্ম শুধু বর্তমান থেকে নয়, পূর্বজন্ম থেকেও নির্ধারিত হয়। লক্ষবার চেষ্টা করলেও কর্ম নির্ধারিত হয় ভাল এবং খারাপ কাজের ভিত্তিতে।
অর্থ এবং জ্ঞান
সন্তান ধন-সম্পদের আশীর্বাদ পাবে কি
পাবে না তা মাতৃগর্ভেই নির্ধারিত হয়। অন্যদিকে
চাণক্য বলেছেন যে জ্ঞান অর্জনও আমাদের জন্মের আগেই ঠিক হয়ে যায়। শিশু কতদূর
পড়াশোনা করবে, জ্ঞান অর্জন করলে
জীবনে সেই জ্ঞান সে কতটা ভালভাবে কাজে লাগাতে পারবে
তা নির্ধারিত হয়ে যায় মাতৃগর্ভেই।
মৃত্যু
চাণক্য বিশ্বাস করতেন যে মানুষের
জীবনে প্রায় ১০১ বার মৃত্যু সম্ভব। যার মধ্যে একবার কাল মৃত্যু আর বাকিটা অকাল মৃত্যু। এই অকাল মৃত্যু কর্ম এবং ভোগ
দ্বারা প্রতিস্থাপিত হতে পারে।