মৃত্যু এক চিরন্তন সত্য, যা সম্পর্কে
শাস্ত্র ও পুরাণে বিভিন্ন কথা বলা হয়েছে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে একজন মানুষের
জন্মের সঙ্গে সঙ্গে তার
মৃত্যুও নির্ধারিত হয়। প্রত্যেক মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও মানুষ তা মেনে নিতে
ভয় পায়। শিবপুরাণেও মৃত্যু সম্পর্কে অনেক কথা বলা হয়েছে। এই অনুসারে, মৃত্যুর ঠিক আগে মানুষ কিছু বিশেষ লক্ষণ পেয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন: শুধু অ্যালোপ্যাথি নয়, আয়ুর্বেদিক ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহারও হতে পারে বিপজ্জনক!
মৃত্যুর আগে এই
লক্ষণগুলি পাওয়া যায়
শিবপুরাণ অনুসারে, যদি কোনও ব্যক্তির
শরীর সাদা বা হলুদ হয়ে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাল দাগের মতো চিহ্ন দেখা
যায় তবে এমন ব্যক্তির শেষ আসন্ন বলে
বিবেচিত হয়।
আরও পড়ুন: এই দুই রাশির জাতক-জাতিকাদের বাঁধা উচিত্ নয় লাল রক্ষাসূত্র, অসুখী হন শনিদেব
যদি কোনও ব্যক্তির মাথায় হঠাৎ
করে একটি কাক এসে বসে, তবে এটি নিকটবর্তী
মৃত্যুর লক্ষণ হিসাবে বিবেচিত হয়। এ ছাড়া মাথায় শকুন বা পায়রা বসাও খুব অশুভ বলে মনে করা হয়। এটি ইঙ্গিত দেয় যে
শীঘ্রই আপনার সাথে অপ্রীতিকর কিছু ঘটতে পারে।
যদি কোনও ব্যক্তির বাম হাত এক
সপ্তাহ ধরে একটানা কাঁপতে থাকে, তাহলে তাও খুব
খারাপ বলে মনে করা হয়। এটি মৃত্যুর লক্ষণ হিসাবে বিবেচিত হয়। শিব পুরাণ অনুসারে, যদি কোনও ব্যক্তি
জল, তেল এবং আয়নায় নিজের প্রতিবিম্ব দেখা বন্ধ করে দেয় তবে তাও মৃত্যুর লক্ষণ হিসাবে বিবেচিত হয়।
শিবপুরাণে বলা হয়েছে, যখন কোনও মানুষের জীবনে কাল ঘনিয়ে আসে তাহলে তার দৃষ্টি
দুর্বল হতে শুরু করে। শেষ মুহূর্তটি আসার সঙ্গে সঙ্গে
প্রতিটি ব্যক্তির দৃষ্টি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। যদি কেউ অগ্নিজ্যোতি
ঠিকমতো দেখতে না পায় এবং চারিদিকে অন্ধকার অনুভব করে, তবে বুঝতে হবে যে
ব্যক্তির মৃত্যু ঘনিয়ে এসেছে।
যখন একজন ব্যক্তির মুখ, কান, নাক এবং জিহ্বা পাথরের মতো হয়ে যায়, তখন বোঝা উচিৎ যেসেই ব্যক্তির আয়ু আর মাস ছয়েক। এই ধরনের লক্ষণ
পাওয়ার পর, একজন ব্যক্তির উচিৎ ঈশ্বরের আরাধনায় মনোনিবেশ করা। বিশ্বাস করা হয় যে এই কাজ করলে মানুষ
মারা যাওয়ার সময় খুব বেশি কষ্ট পায় না।