শেষ ম্যাচে অন্তিমলগ্নে স্কট নেভিলের গোলে কোনও রকমে হার
বাঁচিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। রক্ষণের ভুল বারেবারে ধরা পড়েছে কেরল ব্লার্টার্সের
বিরুদ্ধে। শেষ ছয় ম্যাচে অপরাজিতের তকমা বজায় থাকলেও টিম গঠনের উপর প্রশ্ন চিহ্ন
তৈরি হয়েছিল কিবু ভিকুনার দলের বিরুদ্ধে। তিন পয়েন্ট পাওয়ার ম্যাচে এক পয়েন্ট
পেলেও দু’পয়েন্ট নষ্টের খেসারত যে আগামী দিনে দিতে হতে পারে তা জানে লাল-হলুদ টিম
ম্যানেজমেন্ট। এই পরিস্থিতিতে লিগের অন্যতম কঠিন প্রতিপক্ষ চেন্নাইয়ান এফসি’র বিরুদ্ধে সোমবার জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে ইস্টবেঙ্গল।
গত ম্যাচে মিলন সিং এবং হরমনপ্রীত সিং-কে শুরু থেকে খেলিয়ে
প্রত্যাশিত ফল পায়নি লাল-হলুদ। বরং আগের ম্যাচগুলিতে মহম্মদ রফিক শুরু থেকে খেলায়
আক্রমণে অনেকটাই ঝাঁঝ ছিল ইস্টবেঙ্গলের। অপর দিকে, শেষ ম্যাচে কাফ
ম্যাশলে চোট পেয়ে রাজু গায়েকোয়াড়ের না থাকাটাও বড় ফ্যক্টার হয়ে যায় ইস্টবেঙ্গলের
জন্য। চেন্নাইয়ান ম্যাচেও রাজুর সার্ভিস পাবে না লাল-হলুদ। এই পরিস্থিতিতে
অনিরুদ্ধ থাপা, ইসমাইল গঞ্জালবেসদের বিরুদ্ধে ডিফেন্স’কে আরও মজবুত করে শুরু থেকে নামতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। সেক্ষেত্রে সোমবারের
ম্যাচে লাল-হলুদের প্রথম একাদশে বদল আসতে পারে বেশ কিছু জায়গায়। মিলন সিং-এর
পরিবর্তে শুরু থেকে খেলতে পারেন শেহনাজ সিং বা সদ্য বেঙ্গালুরু এফসি থেকে লোনে যোগ
দেওয়া অজয় ছেত্রী। ডিফেন্সিভ লাইনে বদলের সম্ভবনা না-এর বরাবর। সেন্ট্রাল ডিফেন্সে
স্কট নেভিল এবং ড্যানি ফক্স শুরু করবেন। দুই ব্যাকে অঙ্কিত মুখোপাধ্যায় এবং নারায়ণ
দাসের শুরু করার সম্ভবনা বেশি যদি না শেষ পর্যন্ত বিকাশ জাইরু দলে ঢোকে।
কেরলের বিরুদ্ধে ঠিক মতো বলের যোগান না পাওয়ায় ভয়ঙ্কর হয়ে
উঠতে পারেননি ব্রাইট এনওবাখারে। মাঝমাঠে জ্যাক মাঘোমা থাকলেও তাঁকে খুব বেশি
কার্যকরী দেখায়নি শেষ ম্যাচে। ফলে ফিট হয়ে যাওয়া অ্যান্টনি পিলকিংটনকে শুরু থেকে
খেলিয়ে পরে নামানো হতে পারে জ্যাককে। এ ছাড়া মার্তি স্টেইনম্যানের খেলার উপর কোনও
প্রশ্ন চিহ্ন নেই।
প্রথম লেগে ২-২ ব্যবধানে শেষ হয়েছিল এই দুই দলের লড়াই।
শেষ সাক্ষাতে ইস্টবেঙ্গলের দু’টি গোলই এসেছিল মার্তি স্টেইনম্যানের
সৌজন্যে। পিছিয়ে পড়েও সেই ম্যাচে দু’বার ইস্টবেঙ্গলের
ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন জার্মান ফুটবলার।