ম্যাচের ঠিক আগের মুহূর্তে নিজেকে পুরোপুরি সুস্থ বলে মনে
করেননি লিওনেল মেসি। ফলে তাঁকে স্কোয়াডের বাইরে রেখেই স্প্যানিশ সুপার কাপের
সেমিফাইনালে দল নামান রোনাল্ড কোম্যান। কিন্তু দলের প্রাণভোমরা না থাকলে কী পরিণতি
হয় বার্সেলোনার, তা বেশ ভাল মতো টের পেলেন কোম্যান। রিয়াল
সোসিয়েদাদের মতো দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জয় পেতেও যথেষ্ট ঘাম ঝড়াতে হল
কাতালানদের।
কষ্টার্জিত হলেও শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে জিতে
স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল বার্সা। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর
অতিরিক্ত সময়ও ১-১ গোলে ব্যবধানে শেষ হয় ম্যাচ।
মেসি না থাকলেও দেম্বেলে, গ্রিজম্যান,
বুসকুয়েটসরা সবাই ছিলেন এদিনের প্রথম একাদশে। তবুও ম্যাচের শুরু
থেকেই বার্সার ওপর চড়াও হয় রিয়াল সোসিয়েদাদ। একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে দলটি।
তবে গোলের দেখা পাচ্ছিল না কিছুতেই। ম্যাচের গতির কিছুর উল্টোদিকে গিয়েই প্রথম গোল
পেয়ে যায় বার্সা। ৩৯ মিনিটের মাথায় গ্রিজম্যানের থেকে বল পেয়ে সোসিয়েদাদের জালে
জড়িয়ে দেন ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই পেনাল্টি পায়
সোসিয়েদাদ। ৪৯ মিনিটের মাথায় সোসিয়েদাদ মিডফিল্ডার মেরিনো ডি বক্সে বল ক্রস করলে
তা ডি ইয়ংয়ের হাতে লাগে। সেই স্পট কিক থেকে মিকেল ওয়ারজাবাল গোল করে সমতায় ফেরান। এরপর নির্ধারিত সময়ে গোলের দেখা পায়নি আর কোনও দলই। ফলে ম্যাচ গড়ায়
অতিরিক্ত সময়ে। পরবর্তী ৩০ মিনিটেও গোলের লকগেট খুলতে ব্যর্থ হন দুই দলের
ফুটবলাররা। ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণের জন্য টাইব্রেকারের সাহায্যের প্রয়োজন হয়।
পেনাল্টি শ্যুট আউটে নিজেদের প্রথম তিনটি শটে গোল করতে
পারেনি সোসিয়েদাদ। আর বার্সাও নিজেদের প্রথম শটটি জালে জড়াতে ব্যর্থ হয়। তারপরের
দুটি শটে গোল করলেও চতুর্থবার শট নিতে গিয়ে খালি হাতে ফেরেন গ্রিজু। শেষে রিকার্ডো
পুইজের গোলে হাসি মুখে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।