একের পর এক সুযোগ নষ্ট। গোলের সুযোগ তৈরি করেও চেন্নাইয়ান এফসির রক্ষণ ভাঙতে
ব্যর্থ হচ্ছিল এটিকে-মোহনবাগান। তবে শেষ পর্যন্ত অনবদ্য গোল করে সবুজ-মেরুনকে স্বস্তি
এনে দিলেন উইলিয়ামস। ম্যাচ শেষে হাইভোল্ঢেজ হাসি ফুটে ডঠল কোচ অ্যান্টোনিও হাবাসের
মুখে।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই হাবাসের ছেলেদের উদ্যম লক্ষ্য করা গিয়েছে। শুরু
থেকেই আক্রমণ তৈরির চেষ্টা করেছে এটিকে-মোহনবাগান। চেন্নাইয়ান এফসির বক্সে বারবার হানা
দিতে দেখা গিয়েছে হাবাসের ছেলেদের। যদিও বিরতির আগে কাজের কাজ করতে পারেনি এটিকে-মোহনবাগান।
শুধু রয কৃষ্ণা নয়, এদিন মনবীর সিংও ভালো ফুটবল মেলে ধরেছেন। ম্যাচের ১৭ মিনিটে থ্রো-ইন মারফত বল পেয়ে চমত্কার ক্রস তুলে
ছিলেন মনবীর সিং। কিন্তু গোল পায়নি বাগান। শুভাশিসের ক্রস থেকে গোল করার সোনার সুযোগ
পেয়েছিলেনলেন রয কৃষ্ণা। কিন্তু তাঁর নেওয়া ভলি বারের উপর দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। তবে
সুযোগ পেয়েছিল চেন্নাইয়ান এফসিও। যদিও অরিন্দম সেভ করে দলের বিপদ উদ্ধার করেন। তবে
এদিন বাগান আক্রমণ তৈরি করলেও বলের জোগান কম পেয়েছেন রয কৃষ্ণারা। মাঝমাঠ থেকে বল জোগানোর
লোকের অভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। সেই জন্যই প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি বাগান। বিরতির
সময় ম্যাচের ফল গোলশূন্য ছিল। বিরতির পরে হাবাসের ছাত্ররা আরও প্রবলভাবে ম্যাচে ফিরে
আসবে তা আশা করা গিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি সবুজ-মেরুন।
ম্যাচের ৪৬ মিনিটে খুব ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন কৃষ্ণা। কিন্তু চেন্নাইয়ান রক্ষণের কাছে
বারবার আটকে গিয়েছেন তিনি। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন এডু গার্সিয়াও।
কিন্তু বল অনেক বাইরে মেরে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। বিরতির পরে একের পর এক আক্রমণ গড়েছে
বাগান। হাবাসের ছেলেরা রীতিমতো ঝড় তোলে চেন্নাইয়ের পেনাল্ঢি বক্সে। কিন্তু একের পর
আক্রমণ তৈরি করলেও গোলের মুখ খুলতে পারছিল না বাগান। তবে শেষ পর্যন্ত গোলের মুখ খুলল বাগান। ম্যাচের
সংযুক্তি সময়ে প্রথম মিনিটে কর্নার থেকে উঠে আসা বলে স্পট জাম্প করে হেডে গোল করেন
ডেভিড উইলিয়ামস। তবে শেষ পর্যন্ত গোলের সুযোগ পেয়েছিল চেন্নাইয়ান এফসিও। অন্তিম মুহূর্তে
তিরি গোললাইন সেভ করে দলকে তিন পয়েন্ট এনে দেন।