ব্রিসবেনে পৌঁছেই চূড়ান্ত
অব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হয়েছিল ভারতীয় দলের সদস্যদের। তিক্ত অভিজ্ঞতার স্বীকার হন
ক্রিকেটাররা। হোটেলে ছিল না কোনও রুম সার্ভিস। এমনকি, হাউস
কিপিংয়েরও কোনও ব্যবস্থা ছিল না সেখানে। যার হোটেল রুমের সমস্ত কাজ নিজেদেরই করতে
হচ্ছিল রাহানে-রোহিতদের।
প্রাথমিকভাবে কোয়ারেন্টাইনের
কড়াকড়ির জন্য বর্ডার গাভাসকর ট্রফির শেষ ম্যাচটি খেলতে ব্রিসবেনে যেতে রাজিই ছিল
না ভারতীয় ক্রিকেট দল। পরে শর্তসাপেক্ষে সেখানে গিয়েছে তারা। রাজি হয়েছে গাব্বায় চতুর্থ
টেস্টটি খেলতে। কিন্তু ব্রিসবেনে গিয়ে দেখা যায়, হোটেল রুমে কোয়ারেন্টাইনে রাখা
হয়েছে রাহানে অ্যান্ড কোংকে। দেওয়া হয়নি কোনও রুম সার্ভিস। ফলে খাবার-দাবার থেকে
শুরু করে টয়লেট পর্যন্ত নিজেদেরই পরিষ্কার করতে হয়েছে ক্রিকেটারদের।
সহ্য করতে না পেরে শেষমেষ বোর্ডকে
অভিযোগ জানাতে বাধ্য হন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রিকেটার। খবর চাউড় হতেই নড়েচড়ে
বসে গোটা বিশ্ব। শোরগোল পড়ে যায় ক্রিকেট বিশ্বে। তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেন ভারতীয়
ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং সচিব জয় শাহ। বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে
দ্রত যোগাযোগ করা হয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে। ‘দাদা’র হস্তক্ষেপে
একদিনের মধ্যেই হয়ে যায় মুশকিল আসান। বুধবার থেকে হোটেলে প্রায় সমস্ত সুবিধাই ভোগ
করতে পারছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা।
বিসিসিআইয়ের এক কর্তা জানিয়েছেন, বোর্ড প্রধান
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মধ্যস্থতায় খুব দ্রুত সমঝোতা করেছে সিএ। তিনি বলেন, ‘আমাদের
বোর্ডকে বলা হয়েছে, ক্রিকেটারদের ব্যবহারের জন্য লিফট খুলে দেওয়া হয়েছে। তারা
জিমও ব্যবহার করতে পারবে। পাশাপাশি এটিও নিশ্চিত করা হয়েছে যে, সবার জন্য রুম
সার্ভিস ও হাউসকিপিং দেওয়া হয়েছে। দলের জন্য একটি আলাদা রুম দেওয়া হয়েছে, যেখানে তাঁরা
আলোচনার জন্য বসতে পারবেন। তবে সুইমিং পুলটা শুধুমাত্র বন্ধ রাখা হয়েছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘ক্রিকেটাররা
খুব ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত। তাই আপাতত নিজেদের রুমেই অবস্থান করছেন তাঁরা। তবে বিকেল
বা সন্ধ্যার দিকে তাঁদের হাঁটাচলার প্রয়োজন পড়তেই পারে। আপনি এত বড় একটা সফরে কোনও
খেলোয়াড়কে পুরোপুরি বন্দি রাখার কথা ভাবতেও পারেন না। বিসিসিআই সবসময় ক্রিকেটারদের
পাশে রয়েছে। তাঁরা যেন সেরা সুবিধাটা পায়,
সেদিকে সবসময় নজর রাখছে বোর্ড।’