হঠাৎ খুব মোটা হয়ে গেলে বা খুব রোগা হয়ে গেলে ত্বকে ফাটা
দাগ বা স্ট্রেচ মার্কস দেখা যায়। অনেক সময়ে বয়ঃসন্ধিতে বা প্রেগনেন্সির সময়েও এই
ধরনের দাগ শরীরে নানা অংশে লক্ষ্য করা যায়। সাধারণত পেটে, হাতে, কোমরে, বুকে, পায়ে, থাইতে এই ধরনের দাগ দেখা যায়। অনেকের স্ট্রেচ
মার্কস সাদা হয়, অনেকের লালচে। অনেকের ওবেসিটির জন্যও এই দাগ
দেখা যায়।
এই স্ট্রেচ মার্কস কমাতে একাধিক ওষুধ বা ক্রিমের ব্যবহার
হয়ে থাকে। কিন্তু সে সব ছাড়াও ঘরোয়া কয়েকটি পদ্ধতিতেও এই দাগ কমানো সম্ভব হয়।
১) আমন্ড অয়েল
আমন্ড অয়েলেও স্ট্রেচ মার্কস কমে যায়। একটি গবেষণায় একজন
মহিলার উপরে এই নিয়ে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যে স্ট্রেচ মার্ক দূর করতে এর
উপকারিতা রয়েছে। মহিলাটি প্রথম বার অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন এবং তাঁর ত্বকে স্ট্রেচ
মার্কস দেখা দিয়েছে। সেই জায়গায় আমন্ড অয়েল মাসাজ কিন্তু দাগ কমিয়েছে এবং আর যে যে
জায়গায় স্ট্রেচ মার্কস হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, তা রোধ করেছে।
২) অ্যাপ্রিকট স্ক্রাব
অ্যাপ্রিকটের দানা ত্বকের মৃত কোষ তুলে ত্বককে প্রাণবন্ত
রাখতে সাহায্য করে। নতুন কোষ তৈরিতেও সাহায্য করে। ফলে, অ্যাপ্রিকট স্ক্রাব স্ট্রেচ মার্কসে ব্যবহার করলে দাগ দূর হতে পারে।
৩) অ্যালোভেরা
ত্বকের যে কোনও রকম ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা।
এর একাধিক পুষ্টিগুণ ত্বক ভালো রাখে ও স্ট্রেচ মার্কস দূর করে।
৪) আর্গন অয়েল
আর্গন অয়েলে অ্যান্টি-এজিং উপাদান থাকে, যা মেনোপজের পর মহিলাদের ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। সাধারণত মেনোপজের
পর ত্বকে বলিরেখা আসতে থাকে। এটি স্ট্রেচ মার্কস কমাতেও সাহায্য করে।
৫) ক্যাস্টর অয়েল
ত্বক ময়শ্চারাইজ করতে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করা হয়। ত্বক
বেড়ে যাওয়া রোধ করে এটি। ফলে স্ট্রেচ মার্কস বা ফাটা দাগও কমায়।
৬) লেবুর রস
বেশ কিছু সমীক্ষা বলছে, লেবুর রসে
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস থাকে। যা মৃত কোষ তুলে নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে। এর
বিভিন্ন উপাদান স্ট্রেচ মার্কসও দূর করে।