পরিস্থিতি যা, তাতে ক্লান্তির কোনও দোষ নেই। একে তো ঘরের যাবতীয় কাজ, অফিসের
কাজের চাপ, তার সঙ্গে নিরন্তর অনিশ্চয়তার সঙ্গে বসবাস আর চূড়ান্ত একঘেয়েমি। এইসবই মিলেমিশে
ক্লান্ত করে তুলছে আমাদের অনেককে। তা সত্ত্বেও চিন্তা বাড়ছে এই ভেবে যে, এ কি শুধু
দিনগত পাপক্ষয়ের ক্লান্তি, না অজান্তেই হানা দিয়েছে কোভিড। কোভিডেও তো ক্লান্তির শেষ
থাকে না বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
সঠিক খাবার খান, সঠিক সময়ে খান
১। সময়মতো খাওয়াদাওয়া করুন। বহু ক্ষণ খালিপেটে থাকলে রক্তে শর্করার
মাত্রা কমে গিয়ে ক্লান্ত লাগতে পারে।
২। আধ ঘণ্টা অন্তর কয়েক চুমুক করে জল খান। সারাদিনে যেন আড়াই-তিন
লিটার অন্তত খাওয়া হয়। ঠিকঠাক জল না খেলে জলশূন্যতার জন্য দেখা দিতে পারে ক্লান্তি।• কফি-কোলা জাতীয় পানীয়-মদ বেশি খেলে জলশূন্যতার
আশঙ্কা বাড়ে। ক্লান্ত শরীরে মুড সুইং হতে থাকে ঘন ঘন। আবার বিকেলের দিলে চা-কফি বেশি
খেলে ঘুম কমে যায়। সে কারণেও ক্লান্ত লাগতে পারে। কাজেই দিনে ২-৩ কাপের বেশি চা-কফি
খাবেন না। ঘুমের সমস্যা থাকলে বিকেলের পর থেকে আর নয়, বিশেষ করে কফি।
৩। দিনের প্রতিটি খাবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত প্রোটিন খান। ডিম, দুধ,
দই, মাছ, মাংসের পাশাপাশি উদ্ভিজ্জ প্রোটিনও খান সমানতালে। যেমন ডাল, ছোলা, রাজমা,
বিভিন্ন ধরনের বাদাম, বিনস ইত্যাদি। এতে পুষ্টি যেমন হবে, ক্লান্তি কমবে। অল্প খাবারে
পেট ভরবে ও বেশি ক্ষণ পেট ভরা থাকবে বলে ওজনও বাড়তে পারবে না। উদ্ভিজ্জ প্রোটিন বেশি
খেলে অবশ্য পেটের সমস্যা হতে পারে। অম্বল-বদহজম হলেও কিন্তু ক্লান্তি বাড়বে।
৪। ক্লান্তির একটা বড় কারণ হল রক্তাল্পতা। সে বিপদ ঠেকাতে আয়রনসমৃদ্ধ
খাবার খান। সবরকম আমিষ খাবারেই আয়রন থাকে। থাকে সবুজ শাকসব্জিতে। ভাতের পাতে লেবু তথা
ভিটামিন সি খেলে সেই আয়রন ভাল ভাবে শোষিত হয়। খাওয়ার পর ফ্রুট স্যালাড খেলেও একই কাজ
হবে। চা-কফি-কোলা আয়রন শোষণে বাধা দেয়। কাজেই খাওয়ার এক-দেড় ঘণ্টার মধ্যে এ সব খাবেন
না।
৫। ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি হলে ক্লান্তি বাড়তে পারে। এ বিপদ এড়াতে
কলা, বাদাম, ছোলা, সবুজ শাকসব্জি খান ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে।