জহর বাহরু। কলকাতাবাসীর অনেকের কাছেই হয়তো নামটা অচেনা।
আবার অনেকে হয়তো বেশ ভাল ভাবেই চেনেন এই শহরটিকে। সে যাই হোক না কেন, দেশের দক্ষিণে অবস্থিত মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর হল এই জহর বাহরু।
মালয়েশিয়ার অন্যান্য শহরগুলির থেকে একটু আলাদাই এই শহরটি। দেশের অন্যতম
গুরুত্বপূর্ণ শিল্প ও বানিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু। আর এই নিজস্বতাই বাকি শহরগুলির
থেকে জহর বাহরুকে আলাদা করে তুলেছে। চলুন জেনেনিন জহর বাহরু-তে গিয়ে আপনি কী কী
করতে পারবেন। জহর বাহরু-তে গিয়ে যে জায়গাগুলিতে না গেলেই নয়।
লেগোল্যান্ড
২০১২-তে প্রথম এই পার্কটি চালু হয়। গোটা মালয়েশিয়াতে এটাই
প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক স্তরের থিম পার্ক। পার্কটি অবস্থিত নুসা ক্যামেরল্যাং
ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায়। ৪০টির বেশি আকর্ষণীয় রাইড এবং শো আপনি এখানে দেখতে পাবেন।
২০১৩-তে এখানে ওয়াটার পার্কও চালু হয়। শুধু তাই নয়, আপনি চাইলে এখানে
থাকতেও পারেন।
জহর বাহরু সিটি স্কোয়্যার
জহর বাহরু বেড়াতে গেলে এই সিটি স্কোয়্যার আপনার চোখে
পড়তে বাধ্য। শহরের ঠিক মাঝখানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে এই মলটি। ২০০টিরও বেশি
বিভিন্ন দোকান রয়েছে এখানে। যদি শপিং আপনার ভাল লাগে, তবে এই জায়গা আপনার জন্য আদর্শ।
দ্য লিটল বিগ ক্লাব
এটিও একটি থিম পার্ক যেখানে আপনি আপনার পরিবারের সঙ্গে সময়
কাটাতে পছন্দ করবেন। বাচ্চাদের জন্য তো এই পার্কটি আদর্শ। পিঙ্গু থেকে
অ্যাঞ্জেলিনা ব্যালেরিনা, রয়েছে হরেক কিসিমের কস্টিউমও। আর রয়েছে বব
দ্য বিল্ডার জোন যেখানে বাচ্চারা ববকে সাহায্য করবে বাড়ি তৈরি করতে।
জহর ওল্ড চাইনিজ মন্দির
শুধু মাত্র চাকচিক্যই নয়, পুরাতনও ঠাঁই
পেয়েছে এই শহরে। যেমন ধরুন জহর ওল্ড চাইনিজ মন্দির। ১৯৯০ সালের এটি মন্দিরটি যেন
নতুনের মাঝে পুরাতনকে তুলে ধরেছে। এই মন্দিরটি পাঁচটি চাইনিজ সম্প্রদায়কে এক
করেছে।
অরুলমিংগু শ্রী রাজাকালিয়ামান গ্লাস মন্দির
অরুলমিংগু শ্রী রাজাকালিয়ামান গ্লাস মন্দিরটি হল অন্যতম
সেরা আকর্ষণ। এটিই হল মালেশিয়ার একমাত্র কাচের মন্দির। ১৯২২ সালে এই মন্দিরটি তৈরি
হয়। ১৯৯০ সালে মন্দিরটিকে নতুন ভাবে তৈরি করা হয়।