অস্ট্রেলিয়ান ওপেন আর নোভাক জকোভিচ। দুটি যেন সমার্থক শব্দ
হয়ে গিয়েছে। রবিবার রড লেভার এরিনায় বিশ্বের চার নম্বর খেলোয়াড় দানিল মেদভেদেভ
কার্যত দাঁড়াতেই পারলেন না জোকারের সামনে। স্ট্রেট সেটে মেদভেদেভে উড়িয়ে ফের
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হলেন সার্বিয়ান তারকা।
রজার ফেডেরার, রাফায়েল নাদালদের টেক্কা
দিয়ে সর্বাধিক অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ের কীর্তি তো আগেই গড়েছিলেন জকোভিচ। এবার এই
গ্র্যান্ড স্ল্যাম প্রতিযোগিতায় প্রথম খেলোয়াড় হিসাবে দু’বার
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হ্যাটট্রিক করার অনন্য নজির গড়লেন তিনি। এই নিয়ে সর্বোচ্চ নয়বার
অজি ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হলেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা।
ফাইনাল ম্যাচের আগে মেদভেদেভ হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন, খুব সহজে এক ইঞ্চি জমিও না ছাড়ার। কিন্তু কোর্টে নিজেকে প্রমাণ করতে
পারলেন না তিনি। প্রথম সেটে তুল্যমূল্য লড়াই করলেও, পরের
দুটিতে অসহায় আত্মসমর্পণ করলেন রুশ সেনসেশন। ম্যাচের শুরুতেই যথেষ্ট ঘাম ঝড়াতে
হয়েছিল জোকারকে। শেষ পর্যন্ত ৭-৫ ফলে সেটটি পকেটে পোরেন তিনি। মেদভেদেভের এই লড়াই
দেখে অনেকেই তাঁর কামব্যাকের প্রত্যাশায় বুক বাঁধছিলেন। কিন্তু কোথায় কী! পরের দুই
সেটে ৬-২, ৬-২ ব্যবধানে হার মানলেন রাশিয়ান। প্রথমবার
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে উঠেছিলেন ২৫ বছর বয়সী মেদভেদেভ। কেরিয়ারে একটিও
গ্র্যান্ড স্ল্যাম না জেতায় খিদেও ছিল যথেষ্ঠ। কিন্তু ৩৩ বছর বয়সী জোকারের
অভিজ্ঞতা এবং প্রতিভার কাছে হার মানতে হল তাঁকে। অধরাই রয়ে গেল গ্ল্যান্ড স্ল্যাম
জয়ের স্বপ্ন।
এই নিয়ে নবমবারের জন্য অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হলেন
জকোভিচ। ওপেন যুগে সর্বোচ্চ ছয়বার এই টুর্নামেন্টের ট্রফি ঘরে নিয়ে গিয়েছেন সুইস
কিংবদন্তি রজার ফেডেরার। ২০১৮ সালে শেষবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ফেডেক্স। তারপর
থেকে টানা তিনবার এই খেতাব দখল করলেন জোকার। এর আগে ২০১১, ২০১২ এবং ২০১৩- এই তিন মরশুমেও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে সেরা হয়ে হ্যাটট্রিক
করেছিলেন তিনি। প্রথমবার এই প্রতিযোগিতা জেতেন ২০০৮ সালে। এর মধ্যে ২০১৫ এবং
২০১৬-তেও এই গ্ল্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্টে ট্রফি ঝুলিতে পুরেছিলেন জোকার।
পাশাপাশি এটি জকোভিচের কেরিয়ারে ১৮তম গ্ল্যান্ড স্ল্যাম
জয়। ফেডেরার এবং নাদালের আরও কাছে চলে এলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ বাছাই এই খেলোয়াড়।
রাফা এবং ফেডেক্স দু’জনেরই কেরিয়ারে গ্ল্যান্ড স্ল্যামের সংখ্যা
২০। এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অবশ্য অংশ নেননি ফেডেরার। উল্টোদিকে, স্প্যানিশ তারকা নাদাল কোয়ার্টার ফাইনালে সিতসিপাসের কাছে হেরেই বিদায়
নেন।