চর্মচক্ষুতে
লিগ টেবলের প্রথম এবং নবমস্থানে থাকা দুই দলের ম্যাচ হলেও এটিই ভারতীয় ফুটবলের সব
থেকে বড় ম্যাচ-‘ডার্বি’। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচে কথা বলে না
পয়েন্ট টেবল,
কথা বলে না শক্তি-দুর্বলতা, এই ম্যাচের ভাগ্য
গড়ে দেয় দুই দলের ফুটবলারদের নার্ভের উপর নিয়ন্ত্রণ।
শুক্রবারের
ডার্বি-তে এটিকে মোহনবাগান শুধু পয়েন্ট টেবল বা শক্তিতেই এগিয়ে মাঠে নামেনি, তাঁদেরে দলের প্রতিটা ফুটবলার
যে স্নায়ুর উপর কঠর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মাঠে নেমেছিল তার প্রমাণ দিল জুম্মা বারের
নব্বই মিনিট। ঐতিহ্যের ডার্বি শুধু জেতাই নয়, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে
নাস্তানাবুদ করে মাঠ ছাড়লেন রয় কৃষ্ণ-প্রীতম কোটাল’রা।
এরই সঙ্গে শেষ হল লাল-হলুদ সমর্থকদের অন্তত একটা ডার্বি জয়কে সম্বল করে বাকি
মরসুমের খারাপ পারফরম্যান্সকে ভুলে যাওয়ার আশাও।
এ
দিন দুই দলের প্রথম একাদশেই ছিল না কোনও পরিবর্তন। কিন্তু সমানে সমানে লড়াইয়ে
ইস্টবেঙ্গল যে অনেকটাই পিছিয়ে এটিকে এবং মোহনবাগান মিলে
তৈরি হওয়া নতুন দলটির থেকে সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ-ই থাকতে পারে না। এ দিন ম্যাচের
প্রথম মিনিট থেকেই নির্বাসনের কারণে হেড কোচ রবি ফাওলার’কে
ছাড়া মাঠে নামা ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের উপর চাপ বাড়ায় অ্যান্তোনিও লোপেজ হাবাসের দল।
মাঝের দশ মিনিট বাদ দিলে কখনওই নিজেদের হাত থেকে ম্যাচের রাশ আলগা হতে দেননি
প্রীতম কোটাল-সন্দেশ ঝিংঘান’রা।
শুরুতেই
মাঝমাঠের দখল নেওয়ার ফলে ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টার থেকে ঝড়ের গতিতে আক্রমণ তুলে
আনতে সমস্যা হয়নি এটিকের। আক্রমণের বেগ আরও তীব্র হয় দুই সাইড ব্যাক ওভার ল্যাপে
উঠে আসায়। শুরু থেকেই অ্যান্টনি পিলকিংটন-জ্যাক মাঘোমা মাঝমাঠের দখল হারানোর
কারণেই লাল-হলুদ আক্রমণে ঝাঁঝ ছিল না গোটা ম্যাচে। আর এই সুযোগে হাই লাইন ডিফেন্স
এবং সাইড ব্যাকদের ক্রমাগত ওভারল্যাপ এটিকে’কে কাঙ্খিত জয়টি এনে দিল।
