সদ্য মুক্তি পেয়েছে ‘থাপ্পড়’। অনুভব সিনহার এই গল্পে এক নারীর ঘুরে দাঁড়ানোর কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাপসী পান্নু। সমালোচকদের কাছেও যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে সিনেমাটি। নারী দিবসে দেখার জন্য ‘থাপ্পড়’ নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য সিনেমা।
পাঙ্গা
অশ্বিনী আইয়ার তিওয়ারি’র পাঙ্গা’য় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন কঙ্গনা রানাউত। ভারতেরই এক কাবাডি খেলোয়ারের জীবন নিয়ে তৈরি হয়েছিল ‘পাঙ্গা’। জাতীয় স্তরের একজন কবাডি খেলোয়ার যিনি বিয়ের পর কারও স্ত্রী, কারও মা হয়েই বাঁচতে শিখে গিয়েছিলেন। হারিয়ে ফেলেছিলেন তাঁর নিজস্ব সত্ত্বা। সেই সত্ত্বা আবার ফিরিয়ে আনার কাহিনি শুনিয়েছিল ‘পাঙ্গা’। স্বপ্ন আবার সত্যি হয়ে ধরা দিয়েছিল তাঁর কাছে।
মর্দানি
রানি মুখার্জির কপ থ্রিলার ‘মর্দানি’ এক পুলিশকর্মীর গল্প বলে। যার অসম সাহসীকতায় ধরা পড়ে নারী পাচারচক্রের সঙ্গে যুক্ত একটি দল। নারী শুধু সহনশীলতারই নাম নয়, প্রয়োজনে দুষ্টের দমনেও পিছপা হয় না সে, তা বুঝিয়ে দিয়েছিল ‘মর্দানি’।
তুমহারি সুল্লু
একজন গৃহিণী থেকে আরজে হয়ে ওঠার গল্প বলেছিল ‘তুমহারি সুল্লু’। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বিদ্যা বালান। একজন রেডিও জকি যিনি নিজের হাজার কষ্ট বুকে নিয়েও শ্রোতাদের জন্য কাজ করে যান, তাঁদের বেঁচে থাকার রসদ যোগান। আর বিদ্যার অভিনয় নিয়ে নতুন কিছু বলার দরকার থাকে না।
মনিকর্ণিকা
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈ ভারতীয় নারীদের প্রতিভূ। বড় পর্দায় এই চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলেছিলেন কঙ্গনা রানাউত। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অত্যাচারের বিরুদ্ধে ১৮৫৭ সালে যে মহাবিদ্রোহ হয়েছিল, তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন রানী লক্ষ্মীবাঈ। তাঁর আসল নাম মণিকর্নিকা। নারীদিবসের উত্থানের কাহিনি পড়তে গিয়ে তাই এই নামটিও যেমন ভুলে যাওয়া যায় না, তেমনই না দেখে থাকা যায় না সিনেমাটিও।
লিপস্টিক আন্ডার মাই বুরখা
ভারতীয় সমাজে আজও নারীর স্থান কোথায়, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল অলঙ্কৃতা শ্রীবাস্তবের ‘লিপস্টিক আন্ডার মাই বুরখা’। এই সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন রত্না পাঠক শাহ, অহনা কুমার, কঙ্কনা সেন শর্মা, বিক্রান্ত মাসি সহ একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী।
মেরি কম
ভারতীয় বক্সার মেরি কমের পরিচয় আলাদা করে দিতে হয় না। বড়পর্দায় তাঁর বায়োপিকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। মণিপুরের এক প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ের বিশ্বের অন্যতম সেরা বক্সার হয়ে ওঠার কাহিনি শুনিয়েছিল ‘মেরি কম’। নারী দিবসে কি এই সিনেমা না দেখলে চলে!
পিঙ্ক
অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তাপসী পান্নু’কে প্রথম অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল পিঙ্ক’এ। ‘না’ মানে সেটা ‘না’ই হয়, সেটা নারী পুরুষ নির্বিশেষে-এ’কথায় সমাজকে বুঝিয়ে দিয়েছিল ‘পিঙ্ক’।
ক্যুইন
‘ক্যুইন’ দিয়ে নিজের অভিনয়ের জাত চিনিয়েছিলেন কঙ্গনা রানাউত। একটি মেয়ের বিয়ের তোড়জোড় যখন সারা, তখন সে জানতে পারে তাঁর প্রেমিক তাঁকে বিয়ে করছে না তখন কেমন হতে পারে সেই মেয়েটির মনের অবস্থা? স্বাভাবিকভাবেই সেই মেয়েটি ভেঙে পড়বে, এমনটাই আশা করা যায়। এক্ষেত্রে কিন্তু তেমনটা হয়নি। নারী দিবসের প্রেক্ষিতে এক অপূর্ব সিনেমা ‘ক্যুইন’।