মানুষ মাত্রই মরণশীল। এই পৃথিবীতে যাঁরাই আসেন তাঁদের
প্রত্যেককেই এক নির্ধারিত সময়ে পৃথিবী থেকে চলে যেতে হয়। যা কিছুরই সৃষ্টি হয়েছে
তার ধ্বংসও নিশ্চিত। বিশ্বব্রহ্মান্ডের কোনও কিছুই অমর নয়। তাই তো কবি মাইকেল
মধুসুদন দত্ত বলেছেন, “জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে?”। তবে আপনি শুনলে চকিত হবেন যে এমন
একটি জায়গা রয়েছে যেখানের মানুষ অমর। না না এটা কোনও বানানো গল্প নয়, তিব্বতি বৌদ্ধ এবং প্রাচীন গ্রন্থের গল্পে এমনই উল্লেখ আছে।
বেদ, পুরাণ ও অনেক প্রাচীন উপন্যাসে
উল্লেখিত আছে যে হিমালয়ের বুকে এমন একটি জায়গা রয়েছে যেখানের মানুষদের মৃত্যু হয়
না। বয়স বাড়ে না এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের। প্রায় ২,৪০০
কিলোমিটার দীর্ঘ এই অঞ্চলের ব্যপ্তি। বিশ্বাস অনুসারে সময়ে সময়ে মানব জগতে আসে এই
অঞ্চলের মানুষ। তখনই মানব বিশ্বে সৃষ্টি হয় অশান্তির, আসে
আমূল পরিবর্তন।
আরও পড়ুন: পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন কিব্বর থেকে
আরও পড়ুন: ড্রাগনভূমিতে কিছুদিন
কলিযুগের অবতার ভগবান কল্কি দেবের ভবিষ্যদ্বাণীতেও উল্লেখ
রয়েছে এই ভূখন্ডের। পুরাণ মতে বিশ্বাস করা হয় যে কল্কি দেবের গুরু এই ভূমিতেই
অধিষ্ঠিত রয়েছেন। তাঁর গুরু এখানেই তাঁর জন্মের জন্য অপেক্ষমান।
প্রতিটি ধর্মীয় কাহিনিতে এই অঞ্চলের নাম বিভিন্ন। কোথাও
সম্ভাল,
কোথাও সিদ্ধাশ্রম তো কোথাও আবার সাংগ্রী-লা নামে পরিচিত এই ভূমি।
কথিত রয়েছে যে জীবনের শেষ সময়ে যুধিষ্ঠির তাঁর পরিবারকে নিয়ে এ শহরে এসেছিলেন।
সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হল এই জায়গাটির সন্ধান আজ পর্যন্ত
কেউ দিতে পারেনি। আধুনিক প্রযুক্তিও এ’ব্যাপারে নতি শিকার
করেছে। সকলের ধারণা মনুষ্য জগতের নাগাল থেকে অনেক দূরে অবস্থিত এই ভূমিভাগ। এই
অঞ্চলের মানুষ চাইলে হস্তক্ষেপ করতেই পারে মানব জগতে কিন্তু মানুষ তা পারে না।